About news website
Wiki Article
তিনি ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার এবং ‘শরীরে জীবাণুনাশক ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই ভাইরাসের চিকিৎসা করা যায় কি না’ তা নিয়ে গবেষণার পরামর্শ দেওয়ার মতো মি.
ট্রাম্প মিজ হ্যারিসকে প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য দায়ী করার চেষ্টা করে এসেছেন। তার এই প্রয়াস ‘মাঝারি সাফল্য’ পেয়েছে।
মার্কিন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস কর্তৃক শপথ নিচ্ছেন ট্রাম্প, ২০ জানুয়ারি ২০১৭
ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেন তার শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ২০ জানুয়ারি, ২০২৫-এ।[২৬৮] তিনি রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণকারী সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হয়ে ওঠেন[২৬৯] এবং প্রথম ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত রাষ্ট্রপতি হন।[২৭০]
নির্বাচনি প্রচারে তার সম্পদ এবং ব্যবসায়িক সাফল্যকে জাহির করতে দেখা গিয়েছিল এই রিয়েল এস্টেট টাইকুনকে। তিনি মেক্সিকোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ‘মাদক, অপরাধ ও ধর্ষকদের পাঠানোর’ অভিযোগ আনেন এবং দাবি করেন সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের খরচ ওই দেশকেই দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ''এখন থেকে সামনের দিনগুলোয় আমাদের দেশ আরো সমৃদ্ধ আর সম্মানজনক অবস্থানে উঠে আসবে। আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে, আমেরিকাকে প্রথমে রাখা।"
১৯৮০ সালে এক সাক্ষাৎকারে মি. ট্রাম্প রাজনীতিকে ‘মিন লাইফ’ (খুবই সঙ্কীর্ণস্তরের জীবন) হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। একই সঙ্গে যোগ করেছিলেন, এর পরিবর্তে ‘সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তিরা’ ব্যবসার জগৎকে বেছে নেন।
কিন্তু পোপ ফ্রান্সিস দাবি করেছেন যে, অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের মতাদর্শ খ্রীষ্টীয় শিক্ষার পরিপন্থী:[৩৪৯] "একজন ব্যক্তি যে সম্পর্কের সেতু নির্মাণের পরিবর্তে শুধু বিভেদের দেওয়াল নির্মাণের কথা চিন্তা করে, সে কখনও সত্যিকারের খ্রীষ্টান হতে পারে না। এটি গসপেল পরিপন্থী"। তাকে নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের সমালোচনাকে ট্রাম্প "মর্যাদাহানিকর" হিসেবে উল্লেখ করে আরো বলেছেন যে, মেক্সিকান সরকার তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পোপকে ব্যবহার করছেন।[৩৫০] ট্রাম্প আরো বলেন, "কারণ তারা (মেক্সিকান সরকার) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শেষ করে দেওয়ার পন্থা অবিরত রাখতে চায়"।[৩৫১] ট্রাম্প আরো বলেন যে, যদি কখনও আইসিস ভ্যাটিকান আক্রমণ করে তবে পোপ এই বলে তার অনুতাপ প্রকাশ করবেন যে যদি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রার্থনা করতাম, তবে এই ধরনের ঘটনা কখনও হতো না।[৩৫১]
ছবির ক্যাপশান, ব্যবসায় সাফল্যের হাত ধরেই খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব হিসাবে তার পরিচিতি বাড়ে।
এখানেই একটি পোস্টারে লেখা, 'আপনারা কি ম্যাডাম প্রেসিডেন্ট চান, নাকি ম্যাডম্যান প্রেসিডেন্ট চান?'
এর মধ্যে একটি তার মায়ের দেওয়া এবং অন্যটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের ব্যবহৃত বাইবেল বলে জানা যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর মি. ট্রাম্প যে ভাষণ দিয়েছেন, সেখানে তিনি বেশ কিছু বড় ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারির কথা বলেছেন।
হামলার সময় ট্রাম্প সমর্থকদের ভিড় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দুপুরে, যখন কংগ্রেস রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যয়ন করছিল ইউ.এস. ক্যাপিটল-এ, ট্রাম্প কাছাকাছি এলিপসে একটি সমাবেশ করেন। কাচের বাধার পিছন থেকে বক্তৃতা দিয়ে,[২৫৮] তিনি নির্বাচন বাতিলের আহ্বান জানান এবং তার সমর্থকদের "নরকের মতো লড়াই" করতে এবং "আমাদের দেশ ফিরিয়ে নিতে" ক্যাপিটলের দিকে মিছিল করতে উৎসাহিত করেন।[২৫৯] তার সমর্থকরা তখন একটি মিছিল নিয়ে ভবনে প্রবেশ করে, প্রত্যয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত করে এবং কংগ্রেসের সরিয়ে নেওয়া হয়।[২৬০] হামলার সময়, ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন কিন্তু দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ হতে বলেননি। সন্ধ্যা ৬টায় একটি টুইট-এ, তিনি তাদের "ভালোবাসা ও শান্তির সাথে বাড়ি যেতে" বলেন, তাদের "মহান দেশপ্রেমিক" বলে অভিহিত করেন এবং পুনরায় বলেন যে তিনি নির্বাচনে জিতেছিলেন।[২৬১] কংগ্রেস পরে পুনরায় একত্রিত হয় এবং ৭ জানুয়ারির প্রথম প্রহরে বাইডেনের বিজয় নিশ্চিত করে।[২৬২]
https://dailysabasbd.com/